menu search
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert
thumb_up_off_alt 1 টি পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

1 উত্তর

more_vert
 
verified
সর্বোত্তম উত্তর

(কুমারীর মধ্যে মাতৃররূপ দর্শন। এ এক প্রাচীন রীতি। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠের কুমারী পুজো তো বিখ্যাত। অনেক বনেদিবাড়িতে তো বটেই, বহু বারোয়ারি পুজোতেও কুমারী পুজো হয়ে থাকে)

১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দের হাত ধরে কুমারী পুজোর সূচনা বেলুড় মঠে। এর পরে প্রথা মেনে কুমারী পুজো করা হয় বেলুড়ে। অনেকে বলেন, মৃন্ময়ী রূপে উমার আরাধনার সঙ্গে দেবীজ্ঞানে কুমারী বন্দনা না করলে পুজোর সার্থকতা থাকে না। বেলুড় মঠের মতো আদ্যাপীঠ, কামারপুকুরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মভিটেতেও কুমারীর আরাধনা করা হয়। এগুলি তো বিখ্যাত পুজো। এছাড়াও বহু বনেদিবাড়ি তো বটেই বারোয়ারি পুজোতেও কুমারী পুজোর চল রয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাছাই করা হয় কুমারী-দেবী? কী বলছে শাস্ত্র?

এ বিষয়ে বিশিষ্ট সংস্কৃতজ্ঞ তথা পশ্চিবঙ্গ বৈদিক আকাদেমির প্রধান নবকুমার ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘সকল কন্যাই দেবীস্বরূপা। তবে পুজোর জন্য কুমারী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশ রয়েছে শাস্ত্রে।’

নবকুমার ভট্টাচার্য তাঁর ‘দুর্গাপুজোর জোগাড়’ গ্রন্থে এই বিষয়ে লিখেছেন— তন্ত্র অনুসারে ১ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত কুমারীকে পুজোর কথা বলা হয়েছে। সেখানে বয়স অনুরাসে কুমারীর নামকরণও করা হয়েছে। কিন্তু শাস্ত্র অনুসারে দশম বর্ষীয়া কন্যাকেই কুমারী পুজো করা উচিত বলে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।

কুমারীর আকৃতি, প্রকৃতি সম্পর্কেও শাস্ত্রে নির্দেশ রয়েছে বলে ওই গ্রন্থে জানিয়েছেন নবকুমারবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘কুমারীর আকৃতি হবে সুন্দর, সুলক্ষণা এবং প্রকৃতি হবে শোভনা। কুমারী পুজো ছাড়া দুর্গাপুজোর পরিপূর্ণ ফল লাভ হয় না। দেবীভাগবতে আবার বলা হয়েছে, এক বছর বয়সের কুমারী পুজোর যোগ্য নয়। দু’বছর থেকে দশ বছর বয়স্কা বালিকা কুমারী হবে।’

• বিভিন্ন বয়সের কুমারী মেয়ের জন্য আলাদা আলাদা নামও রয়েছে শাস্ত্রে। এবং তাকে পুজো করলে কী ফল পাওয়া যাবে তাও বলা রয়েছে।

• দু’বছর বয়সের কন্যার নাম সরস্বতী। পুজোর ফল দুঃখ, দারিদ্র্য ও শত্রু নাশ এবং ধন ও আয়ু বৃদ্ধি।

• তিন বছর বয়সের কন্যার নাম ত্রিধামূর্তি। পুজোর ফল আয়ু বৃদ্ধি, ধনাগম ও বংশবৃদ্ধি।

• চার বছর বয়সের কন্যার নাম কালিকা। পুজোর ফল বিদ্যা, বিজয়, রাজ্য লাভ।

• পাঁচ বছর বয়সের কন্যার নাম সুভগা। ফল রোগনাশ।

• ছয় বছর বয়সের কন্যার নাম উমা। ফল শত্রুনাশ।

• সাত বছর বয়সের কন্যার নাম মালিনী। পুজোয় ধনৈশ্বর্য লাভ হয়।

• আট বছর বয়সের কন্যার নাম কুম্ভিকা। পুজো করলে শত্রুদের মোহিত করা যায়।

• নয় বছর বয়সের কন্যার নাম কালসন্দর্ভা। পুজো করলে ঐহিক দারিদ্র্য ও শত্রু বিনাশ হয়।

• দশ বছর বয়সের কন্যার নাম অপরাজিতা। পুজোয় অভীষ্ট সিদ্ধ হয়।

নবকুমার ভট্টাচার্য তাঁর বইতে জানিয়েছেন কুমারী পুজোয় যে ধ্যান করতে হয় সেখানে বলা হয়— ‘মা তুমি ত্রৈলোক্যসুন্দরী, কিন্তু আজ তুমি কালিকাস্বরূপে আমার সম্মুখে উপস্থিত। তুমি জ্ঞানরূপিণী, হাস্যময়ী, মঙ্গলদায়িনী।’ আর কুমারী পুজোর যে প্রণাম মন্ত্র রয়েছে তার অর্থ— ‘মা, তুমি প্রসন্না হলে আমাকে সৌভাগ্য দান করতে পার। তুমি সকল প্রকারের সিদ্ধি আমাকে দান কর। তুমি স্বর্ণ, রৌপ্য, প্রবাল কত রকমের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত হয়েছ। তুমিই সরস্বতী। আমি তোমাকে প্রণাম করি।’ 

thumb_up_off_alt 0 পছন্দ thumb_down_off_alt 0 জনের অপছন্দ

392,501 টি প্রশ্ন

384,247 টি উত্তর

138 টি মন্তব্য

1,361 জন সদস্য

306 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 306 অতিথি
আজ ভিজিট : 19287
গতকাল ভিজিট : 334342
সর্বমোট ভিজিট : 128720420
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...