menu search
brightness_auto
আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ | প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করে আমাদের সাইট থেকে আয় করতে পারবেন | তাই দেরি না করে এখনই একাউন্ট করেন |
more_vert
thumb_up_off_alt 0 like thumb_down_off_alt 0 dislike

1 Answer

more_vert
রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়ােজনীয়তাঃ সমাজজীবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। বস্তুত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলােচনার প্রেক্ষাপটেই সমাজজীবনের প্রকৃত মূল্য অনুধাবন করা যায়। মানুষের রাজনৈতিক জীবনের এই গুরুত্বের কারণেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলােচনার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের প্রয়ােজনীয়তা নিম্নে আলােচিত হলাে-
(১) রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধিঃ রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ করা অত্যন্ত প্রয়ােজন। কেননা রাষ্ট্রবিজ্ঞান মানুষকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতন হতে সাহায্য করে। সুতরাং রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ করলে ব্যক্তির রাজনৈতিক সচেতনতা অধিকতর হারে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ব্যক্তিত্ব সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে সচেতন হয়ে। রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারে।
(২) বিভিন্ন মনীষীদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে ধ্যান-ধারণাঃ বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন মনীষীগণ পৃথক-পৃথকভাবে রাষ্ট্রকে নিয়ে চিন্তা করেছেন। যেমন-প্লেটো, এরিস্টটল, সেন্ট অগাস্টিন, সেন্ট টমাস, একুইনাস, ম্যাকিয়াভেলি, হস, লক, রুশাে প্রমুখ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ করতে হবে।
(৩) রাজনৈতিক তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনঃ রাজনৈতিক তত্ত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদের জ্ঞান দান করে। জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতাবাদ, রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত মতবাদ, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ করা প্রয়ােজন।
(৪) ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্যঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে ব্যক্তি তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় এবং রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকারগুলাের সদ্ব্যবহার করে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে পারে। কারণ ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের কখন কী করা দরকার, তাদের অধিকার ও কর্তব্য কী এগুলাে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমেই কেবল জানা সম্ভব। এভাবে সচেতন নাগরিক হওয়া যায়।
(৫) গণতন্ত্রের বিকাশঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে ব্যক্তি সর্বোৎকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত গণতন্ত্র সম্বন্ধে সচেতন হতে পারে এবং সমাজের সর্বস্তরে তা চালু করতে পারে। রাষ্ট্রের মানুষের অধিকার ও কর্তব্য, গণতান্ত্রিক মূল্যবােধগুলাে চর্চার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানই বিস্তারিত আলােচনা করে। তাই গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে এগুলাের অধ্যয়ন অতীব প্রয়ােজন।
(৬) সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যেঃ সুসংগঠিত সমাজের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আলােচনা করা হয়। কাজেই সুন্দর, সুসংগঠিত ও সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়ন করতে হবে। সুন্দর ও সুসংগঠিত সমাজ গঠন সমাজের প্রত্যেকেই চায়। এজন্য প্রয়ােজন এ ধরনের সমাজ গঠনের জন্য সচেতনতা ও তা গঠনের কৌশল সম্পর্কে নাগরিক জ্ঞান।
(৭) রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনঃ সরকার, জনমত, নির্বাচকমণ্ডলী, রাজনৈতিক দল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অধ্যয়ন করা প্রয়ােজন। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে গােটাবিশ্বের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ নাগরিকের প্রয়ােজন। আর এজন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের বিকল্প নেই।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রের সভ্য নাগরিক হিসেবে নাগরিকগণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের অধিকার, কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্পর্কে পরিপক্ক জ্ঞান লাভ করতে পারবে না।
thumb_up_off_alt 0 like thumb_down_off_alt 0 dislike

384,789 questions

376,624 answers

136 comments

1,239 users

95 অ্যাক্টিভ ইউজার
0 সদস্য 95 অতিথি
আজ ভিজিট : 214579
গতকাল ভিজিট : 278824
সর্বমোট ভিজিট : 56558901
এখানে প্রকাশিত প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোনপ্রকার আইনি সমস্যা সবজানো.কম বহন করবে না৷
...